Awareness

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা ও সঠিক ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ডেঙ্গু প্রতিরোধের উপায়:

1. এডিস মশার বংশবিস্তার রোধ করুন:

– বাড়ির আশেপাশে পানি জমতে দেবেন না (যেমন: ফুলের টব, টায়ার, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত পাত্র ইত্যাদি)।
– পাত্রের জমা পানি ৩-৫ দিন পরপর ফেলে দিন বা শুকিয়ে নিন।

– পানির ট্যাঙ্ক, ড্রাম বা বালতির মুখ ঢাকনা দিয়ে ভালোভাবে ঢেকে রাখুন।

2. মশা থেকে সুরক্ষা:

– দিনের বেলা (বিশেষ করে সকাল ও সন্ধ্যায়) মশার কামড় থেকে বাঁচতে ফুল হাতা জামা ও প্যান্ট পরুন।
– মশারী ব্যবহার করুন (বিশে ষ করে শিশু ও অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য)।

– মশা তাড়ানোর ক্রিম বা স্প্রে ব্যবহার করুন (যেমন: DEET, Picaridin সমৃদ্ধ প্রোডাক্ট)।

3. পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখুন:
– বাড়ির আশেপাশে ঝোপঝাড়, জঞ্জাল পরিষ্কার রাখুন।
– নালা-নর্দমা পরিষ্কার রাখুন যেন পানি জমে না থাকে।

4. সমষ্টিগত প্রচেষ্টা:
– প্রতিবেশীদের সাথে নিয়ে এলাকার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করুন।
– স্থানীয় প্রশাসন বা স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে যোগাযোগ করে মশা নিধনের ব্যবস্থা নিন (যেমন: ফগিং)।

ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে কী করবেন?
– প্রধান লক্ষণ:
– উচ্চ জ্বর (১০৪°F পর্যন্ত),
– মাথাব্যথা, চোখে ব্যথা,
– শরীরে ও হাড়ে প্রচণ্ড ব্যথা,
– ত্বকে লাল র্যাশ বা দাগ।

– জরুরি অবস্থা:
– প্লেটলেট কাউন্ট কমে গেলে রক্তক্ষরণের লক্ষণ (মাড়ি/নাক দিয়ে রক্ত পড়া, কালো পায়খানা) দেখা দিতে পারে।
– এমন হলে *অবিলম্বে ডাক্তারের শরনাপন্ন হোন*।

সচেতনতা বাড়ান, ডেঙ্গু প্রতিরোধ করুন!
ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। ছোট ছোট সতর্কতাই বড় বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারে।

মনে রাখুন: “মশার বংশবিস্তার রোধ করুন, ডেঙ্গু মুক্ত থাকুন!”

এই বার্তা পরিবার, বন্ধু ও সমাজের সাথে শেয়ার করে সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করুন। 🦟 #ডেঙ্গু_প্রতিরোধ

Scroll to Top