রতন এখন রত্ন

ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন করে চরলাঠিমারা গ্রামের রতন বিশ্বাস তাঁর জীবন বদলে দিয়েছেন। আশপাশের লোকেরা তার দেখাদেখি অনেকেই ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন করে অনেক টাকা আয় করছেন।
রতন বিশ্বাস। পিতার নাম রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস। গ্রাম-চরলাঠিমারা, পোস্ট-হাড়িটানা, ইউনিয়ন-পাথরঘাটা, উপজেলা-পাথরঘাটা, জেলা-বরগুনা। তিনি একজন ক্ষুদ্র কৃষক। নিজের সামান্য জমি আছে এবং কিছু জমি বর্গা নিয়ে চাষবাস করেন। নিজের জমিটুকুতে সে প্রতিবছর রবি মৌসূমে কিছু জমিতে রবি ফসল চাষ করেন কিন্তু পাথরঘাটার ইউনিয়নের চরলাঠিমারা গ্রামের জমিতে য়থেষ্ট লবণ থাকার কারনে লাভজনকভাবে তেমন কিছু করতে পারছিলেন না। এসব কারনে কোন রকমে তার সংসার চললেও স্বচ্ছলতা ছিল না। রতন বেশী বেশী রাসায়নিক সার ব্যবহার করেও যখন বেশী ফলন পাচ্ছিলনা তখন সে স্থানীয় সংগ্রাম এনজিও’র সমৃদ্ধি কর্মসূচির উদ্যোগ উন্নয়ন কর্মকর্তার কাছ থেকে ২০১৪ সালে কেঁচোর মাধ্যমে সার উৎপাদনের কথা জানতে পায়। এরপর সে সমৃদ্ধি অফিসে যোগাযোগ করে এবং কেঁচো সার উৎপাদনের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে। সংশ্লীষ্ট উদ্যোগ উন্নয়ন কর্মকর্তা তার বাড়ি পরিদর্শন করে এবং তাকে সমৃদ্ধির সদস্যভ‚ক্ত করে এবং ১০০০ টাকা অনুদান প্রদান করে। রতন বিশ্বাস সকল উপকরণ যোগাড় করে এবং সমৃদ্ধি থেকে ওরিয়েন্টেশন নেয়। সমৃদ্ধির উদ্যোগ উন্নয়ন কর্মকর্তা তাকে একজন সফল কেঁচো সার উৎপাদসকারীর প্রকল্প পরিদর্শন করার ও এ বিষয়ে জ্ঞান বৃদ্ধি করেন। অতপর রতন কেঁচো সার উৎপাদন শুরু করে। উৎপাদিত সার তার সবজি ক্ষেতে দেওয়ার পর তার ক্ষেতের পরিবর্তন লক্ষ করেন এবং অধিক পরিমান সবজি পেয়ে তার কেঁ সার উৎপাদনে আগ্রহ বেড়ে যায়। প্রথম বৎসরেই রতন তার নিজের জমিতে সার ব্যবহার করার পর সার ও কেঁচো সার বিক্রি করে ৪ হাজার ৭০০ টাকা। এর রতন তার প্রকল্প বাড়াতে থাকে। এর ফলে একদিকে সবজির উৎপাদন বেড়ে যায় এবং মাটির লবণাক্ত কমে মাটির গুণগত মান বাড়তে থাকে অন্য দিকে উৎপাদিত কেঁচো সার ও কেঁচো বিক্রি করে ঘরে অর্থ আসতে থাকে।
বর্তমানে রতন বিশ্বসের প্লান্ট সংখ্যা ৬ টি। সে প্রতি মাসে কেঁচো সার উৎপাদন করে ৪ মন। তার বাৎসরিক বাৎসরিক উৎপাদন ৪৫ মন। এযাবত রতন বিশ্বাস মোট কেঁচো সার উৎপাদন করেছে ২৮৯ মন। প্রতি কেজি ১০ টাকা সার বিক্রি করে রতন আয় করেছে ১ লক্ষ ১৫ হাজার ৬০০ টাকা। অন্য দিকে আশপাশের কৃষকদের কেঁচো বিক্রি করেছে ৩৯ হাজার ৯০০ টাকা। সব মিলে রতন বিশ্বাস এই প্রকল্প থেকে আয় করেছে ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ৫০০ টাকা। সে এখন সারা বছর সবজি চাষ করে। এই সবজি থেকে বছরে তার আয় হয় গড়ে ৫৬ হাজার টাকা।
কেঁচো সার উৎপাদনের মাধ্যমে রতন বিশ্বাস এখন স্বাবলম্বী। রতনের মাধ্যমে আশপাশের কৃষকরা সবজি ও কেঁচো সার উৎপাদন করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে। রতনকে ঘিরে ছোটখাট একটি কালাস্টার তৈরি হয়েছে। এখান থেকে নিয়মিত সবজি যাচ্ছে পাথরঘাটা বাজারে। অর্গানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের কারনে রতনদের সবজির ক্রেতার কাছে কদর বেশী। রতন প্রথমে শুরু করে প্রতিবেশীদের আয়ের পথ সুগম করেছে সেকারনে সবাই তাকে রত্ন বলে মনে করে। তাই বলা যায় রতন এখন সবার কাছে রতœ।
রতন এখন রত্ন
ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন করে চরলাঠিমারা গ্রামের রতন বিশ্বাস তাঁর জীবন বদলে দিয়েছেন। আশপাশের লোকেরা তার দেখাদেখি অনেকেই ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন করে অনেক টাকা আয় করছেন।
রতন বিশ্বাস। পিতার নাম রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস। গ্রাম-চরলাঠিমারা, পোস্ট-হাড়িটানা, ইউনিয়ন-পাথরঘাটা, উপজেলা-পাথরঘাটা, জেলা-বরগুনা। তিনি একজন ক্ষুদ্র কৃষক। নিজের সামান্য জমি আছে এবং কিছু জমি বর্গা নিয়ে চাষবাস করেন। নিজের জমিটুকুতে সে প্রতিবছর রবি মৌসূমে কিছু জমিতে রবি ফসল চাষ করেন কিন্তু পাথরঘাটার ইউনিয়নের চরলাঠিমারা গ্রামের জমিতে য়থেষ্ট লবণ থাকার কারনে লাভজনকভাবে তেমন কিছু করতে পারছিলেন না। এসব কারনে কোন রকমে তার সংসার চললেও স্বচ্ছলতা ছিল না। রতন বেশী বেশী রাসায়নিক সার ব্যবহার করেও যখন বেশী ফলন পাচ্ছিলনা তখন সে স্থানীয় সংগ্রাম এনজিও’র সমৃদ্ধি কর্মসূচির উদ্যোগ উন্নয়ন কর্মকর্তার কাছ থেকে ২০১৪ সালে কেঁচোর মাধ্যমে সার উৎপাদনের কথা জানতে পায়। এরপর সে সমৃদ্ধি অফিসে যোগাযোগ করে এবং কেঁচো সার উৎপাদনের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে। সংশ্লীষ্ট উদ্যোগ উন্নয়ন কর্মকর্তা তার বাড়ি পরিদর্শন করে এবং তাকে সমৃদ্ধির সদস্যভ‚ক্ত করে এবং ১০০০ টাকা অনুদান প্রদান করে। রতন বিশ্বাস সকল উপকরণ যোগাড় করে এবং সমৃদ্ধি থেকে ওরিয়েন্টেশন নেয়। সমৃদ্ধির উদ্যোগ উন্নয়ন কর্মকর্তা তাকে একজন সফল কেঁচো সার উৎপাদসকারীর প্রকল্প পরিদর্শন করার ও এ বিষয়ে জ্ঞান বৃদ্ধি করেন। অতপর রতন কেঁচো সার উৎপাদন শুরু করে। উৎপাদিত সার তার সবজি ক্ষেতে দেওয়ার পর তার ক্ষেতের পরিবর্তন লক্ষ করেন এবং অধিক পরিমান সবজি পেয়ে তার কেঁ সার উৎপাদনে আগ্রহ বেড়ে যায়। প্রথম বৎসরেই রতন তার নিজের জমিতে সার ব্যবহার করার পর সার ও কেঁচো সার বিক্রি করে ৪ হাজার ৭০০ টাকা। এর রতন তার প্রকল্প বাড়াতে থাকে। এর ফলে একদিকে সবজির উৎপাদন বেড়ে যায় এবং মাটির লবণাক্ত কমে মাটির গুণগত মান বাড়তে থাকে অন্য দিকে উৎপাদিত কেঁচো সার ও কেঁচো বিক্রি করে ঘরে অর্থ আসতে থাকে।
বর্তমানে রতন বিশ্বাসের প্লান্ট সংখ্যা ৬ টি। সে প্রতি মাসে কেঁচো সার উৎপাদন করে ৪ মন। তার বাৎসরিক বাৎসরিক উৎপাদন ৪৫ মন। এযাবত রতন বিশ্বাস মোট কেঁচো সার উৎপাদন করেছে ২৮৯ মন। প্রতি কেজি ১০ টাকা সার বিক্রি করে রতন আয় করেছে ১ লক্ষ ১৫ হাজার ৬০০ টাকা। অন্য দিকে আশপাশের কৃষকদের কেঁচো বিক্রি করেছে ৩৯ হাজার ৯০০ টাকা। সব মিলে রতন বিশ্বাস এই প্রকল্প থেকে আয় করেছে ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ৫০০ টাকা। সে এখন সারা বছর সবজি চাষ করে। এই সবজি থেকে বছরে তার আয় হয় গড়ে ৫৬ হাজার টাকা।
কেঁচো সার উৎপাদনের মাধ্যমে রতন বিশ্বাস এখন স্বাবলম্বী। রতনের মাধ্যমে আশপাশের কৃষকরা সবজি ও কেঁচো সার উৎপাদন করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে। রতনকে ঘিরে ছোটখাট একটি কালাস্টার তৈরি হয়েছে। এখান থেকে নিয়মিত সবজি যাচ্ছে পাথরঘাটা বাজারে। অর্গানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের কারনে রতনদের সবজির ক্রেতার কাছে কদর বেশী। রতন প্রথমে শুরু করে প্রতিবেশীদের আয়ের পথ সুগম করেছে সেকারনে সবাই তাকে রত্ন বলে মনে করে। তাই বলা যায় রতন এখন সবার কাছে রত্ন।

Scroll to Top