সংগ্রাম’র কর্মীদের অচিরেই কষ্ট লাঘব হবে -নির্বাহী পরিচালক

বরিশাল বিভাগের অন্যতম এনজিও (সংগঠিত গ্রামোন্নয়ন কর্মসূচি) সংগ্রাম এর নির্বাহী পরিচালক চৌধূরী মুনীর হোসেন বলেছেন সংগ্রামে কর্মরত সকল কর্মীদের অচিরেই কষ্ট লাঘব করা হবে। বর্তমান বাজার স্থীতি বৃদ্ধির বিষয়টি চিন্তা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন- ইতোপূর্বেই সংগ্রাম এর সম্মানিত কর্মীরা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেয়ে গেছেন। যতটুকু কমতি রয়েছে, অবশ্যই চলতি বছরের জুনের মধ্যে একটি মানসম্মত জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে। কার্যনির্বাহী কমিটির সম্মানিত সদস্যদের নিয়ে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হবে। সংস্থার অগ্রগতি পর্যালোচনা ও কর্মীপন্থা উপস্থাপন এবং বিনোদনের মাধ্যমে কর্মীদের সক্রিয়করনের লক্ষ্যে কুয়াকাটায় হোটেল ওয়েস্টার্ন মাঠ প্রাঙ্গনে কর্মী সমাবেশ ও বনভোজন-২০২৪ উপলক্ষে প্রথম অধিবেশনে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন- প্রতিষ্ঠাতা মহোদয়ের অসিহত অনুযায়ী দু’টি বিষয় সংগ্রাম পালন করে যাবে। একটি কর্মী সমাবেশ ও অন্যটি ইফতার আয়োজন।

আলোচনা সভায় কার্যনির্বাহী পরিষদ এর সভাপতি অধ্যাপক মো: জাহাঙ্গীর হোসেন’র সভাপতিত্বে ও সংগ্রাম’র পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মো: মাসউদ সিকদার’র উপস্থাপনায় অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন সংগ্রাম’র কার্যনির্বাহী পরিষদ ও সাধারণ পরিষদ’র সদস্যবৃন্দ। এসময় সংগ্রামকে তীলে তীলে গড়ে তোলা ব্যক্তি চৌধূরী মো: মাসুম’র অংশগ্রহণে কর্মী সমাবেশ আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

কর্মী সমাবেশ ও বনভোজন-২০২৪ উপলক্ষে প্রধান কার্যালয় থেকে শুরু করে সপোর্ট স্টাফদের জন্য ছিলো নানা ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন। ছিলো এক সুন্দর স্বর্ণালী সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। সাংস্কৃতিক এ সন্ধ্যায় কেবল অতিথি শিল্পিরাই নয়; এতে অংশগ্রহণ ছিলো সংগ্রাম’র বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মীদের। তাই প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে ওয়েস্টর্ন মাঠ প্রাঙ্গণে আয়োজিত সংগ্রাম’র সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পরপরই সংগ্রাম’র আয়োজনে ছিলো লাকি কূপণ ও প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ।

সংস্থাটির কর্মীরা বলেন- কর্মীবান্ধব এ সংগ্রাম প্রতি বছর এমন আয়োজন করে থাকে। যা আমাদের প্রাণের সঞ্চারতা যোগায়। একই সাথে আমাদের স্বতঃস্ফূর্ত করে। কাজের স্পৃহা বৃদ্ধি তৈরি হয়। নির্বাহী পরিচালক তাঁর বিচক্ষণতা, প্রাজ্ঞতা, মেধা ও দক্ষতা দিয়ে যেভাবে সংগ্রামকে গ্রেড ‘এ’ তে উন্নিত করেছে, এটা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। তিনি একজন প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে নিজের দক্ষতাকে প্রতিটি পদক্ষেপে পরিচয় দিয়ে আসছেন এক ভিন্নতায়। একজন নির্বাহী পরিচালক কর্মীদের একটুখানি আনন্দ দিতে এতটা পরিশ্রম করতে পারেন, তাহলে আমরাও পারব আমাদের অণ্য যোগানের এ ঘরটিকে আরও আলোকিত করতে। কেবল বরিশাল নয়, ভবিষ্যতে পুরো দেশ জুড়ে সংগ্রাম’র কার্যক্রম চলবে। দূর হবে বেকারত্ব।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top